বর্জ্য ও ময়লা পানি দ্রুততম সময়ে অপসারণ করে ব্যবহার উপযোগী করতে জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: জাহাঙ্গীর আলম। মেয়রের নির্দেশে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম সোমবার আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৩-এর (গাছা) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম জহুরুল আলমকে আহ্বায়ক ও অঞ্চল-১-এর (টঙ্গী) নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো: লেহাজ উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা পাঁচ শতাধিক কর্মীবাহিনী নিয়ে সোমবার দুপুর থেকেই বর্জ্য ও ময়লা পানি অপসারণ এবং মাঠ সমতলকরণের কাজ শুরু করে। মঙ্গলবার বিকেলে ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ময়দানের ময়লা আবর্জনা অপসারণ করছেন। একইসাথে ময়লা পানি অপসারণ ও ময়দানের নি¤œাঞ্চল ভারী যন্ত্রপাতির সাহায্যে বালু ফেলে ভরাট করছে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ।
কমিটির সদস্য সচিব ও টঙ্গী জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: লেহাজ উদ্দিন জানান, সোমবার রাতেই তারা ময়দানের পানি অপসারণ করতে পেরেছেন। তারা এখন বালু ফেলে মাঠ সমতল করছেন। আগামী দুই দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার জন্য মাঠ পুরোপুরি ব্যবহার উপযোগী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
ময়দানের দায়িত্ব হস্তান্তর : গাজীপুর জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের দায়িত্ব আলমি শূরা বা শূরায়ে নেজামের (জোবায়েরপন্থীদের) কাছ থেকে সাদপন্থীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার বাদ মাগরিব ইজতেমা ময়দানের বিদেশী নিবাস এলাকায় স্থাপিত জেলা প্রশাসনের সমন্বয় কক্ষ থেকে এ হস্তান্তরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। হস্তান্তরের আগে ময়দানে বিদ্যমান ইজতেমা আয়োজনের যাবতীয় জিনিসপত্র বা মালামালের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তালিকায় জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য ও শূরায়ে নেজামের পক্ষে ময়দানের জিম্মাদাররা নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন। জেলা প্রশাসনের কাছে ময়দান হস্তান্তরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর সাদপন্থীরা ময়দানে প্রবেশ করেন। এর পর জেলা প্রশাসন সাদপন্থীদের কাছে ময়দানের দায়িত্ব ন্যস্ত করে।
এই ত্রিপক্ষীয় হস্তান্তরপ্রক্রিয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর ইসলাম, টঙ্গী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোর্শেদ খান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে ছিলেন ডিসি (ক্রাইম) শরিফ উদ্দিন, ডিসি (ডিবি) মঞ্জুর আলম, এডিসি ক্রাইম (সাউথ) শাহাদাত হোসেন, আলমি শূরার পক্ষে ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নান, আবুল হাসানাত। পরে সাদপন্থীদের পক্ষে মো: মুহিবুল্লাহ হস্তান্তরপত্রে স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজতেমা ময়দানের দায়িত্ব বুঝে নেন।